সিডনির বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ঘরছাড়া ৫০ হাজার
চলতি বছর তৃতীয়বারের মতো ভয়াবহ বন্যার কবলে অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনি। বন্যার কারণে ঘর ছাড়তে হবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ইতোমধ্যে তাদেরকে বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
সিডনির কিছু অংশে গত চার দিনে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তা প্রায় আট মাস বৃষ্টি হওয়ার সমান।
সেখানকার রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, কিছু ঘরবাড়ি পানির নিচে এবং হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
লা নিনা ধরণের আবহাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় জুড়ে ব্যাপক বন্যা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বন্যায় চলতি বছর ২০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নিউ সাউথ ওয়েলসের৷
বর্তমান জরুরি অবস্থার জন্য সিডনি জুড়ে ১০০টির বেশি স্থানান্তর আদেশ জারি করা হয়েছে।
আশেপাশের আরও ৫০টি এলাকার লোকজনকে সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে, কারণ বেশ কয়েকটি বড় নদী প্লাবিত হয়েছে। নিকটবর্তী হান্টার এবং ইল্লাওয়ারা অঞ্চলেও তীব্র আবহাওয়া বিরাজ করছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের কিছু এলাকায় চার দিনে ৮০০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া ব্যুরো বলছে, বৃহত্তম লন্ডনে এক বছরে যত বৃষ্টিপাত হয় এই বৃষ্টিপাত তার থেকে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বেশি।
মঙ্গলবার সিডনিতে বৃষ্টিপাত কমতে শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ঝড়-বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যার ফলে গাছ এবং পাওয়ারলাইন উপড়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের জরুরী পরিষেবা মন্ত্রী স্টেফানি কুক বলেছেন, জরুরি অবস্থা শেষ হয়নি।
এনএসডব্লিউ প্রিমিয়ার ডমিনিক পেরোটেট বলেছেন, যদি আপনি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান ত্যাগের নির্দেশ অমান্য করে অবস্থান করেন তবে আপনি আপনার জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছেন।
অনেক স্থানীয়দের মতে এটি এ বছরের তৃতীয় বন্যা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং লা নিনা আবহাওয়ার কারণে বন্যা জরুরি অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। লা নিনা বিকশিত হয় যখন শক্তিশালী বাতাস প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ পৃষ্ঠের জলকে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে দূরে এবং ইন্দোনেশিয়ার দিকে উড়িয়ে দেয়। তাদের জায়গায় ঠান্ডা জল পৃষ্ঠ পর্যন্ত আসে।
লা নিনা অস্ট্রেলিয়ায় বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় এবং দিনের বেলার শীতল তাপমাত্রার সম্ভাবনা বাড়ায়।