সাংবাদিকরা এখন স্বাধীনভাবে লিখতে পারছে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম
বৈষধ্য বিরাধী ছাত্র আদালনে সরকার পরিবর্তনর পর সাংবাদিকরা এখন স্বাধীনভাবে সংবাদ লিখতে পারছে। আগে সাংবাদিকরা কোন কিছু লিখত ভয় পেতো। এখন সে ভয় নেই। আমার বিরুদ্ধেও সাংবাদিকরা ইচ্ছমতো লিখতে পারবে। তবে অনুরাধ সত্যটা লিখবেন। নতুন স্বাধীনতায় আমরাও আজ স্বাধীনভাবে চলাফরা করতে পারছি, মিটিং করতে পারছি শুধুমাত্র আমাদের দেশের ছাত্র সমাজের অগ্রণী ভূমিকার কারণে।
তপ্ত বুলেটের সামনে তারা যেভাবে বুক চিতিয়ে দিয়েছে তার কাছে স্বৈরাচার হাসিনা হার মেনেছে এবং দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। শুক্রবার (০৪.১০.২৪) দুপুরে বোয়ালমারী উপজলার সাতৈর ইউনিয়নের সাতৈর বাজার নিজ বাসভবনে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেদ্রীয় কৃষকদলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সুস্পষ্টভাবে বলেছেন কোথাও কোন লেবেলে কোন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি করা যাবেনা। দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি এগুলো যারা করতে গিয়েছে, দলের নজরে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে দল থেকে কঠিন ব্যবস্থা নিয়েছে। ৫ আগস্টের আগে বিএনপি করার জন্য মুষ্টিমেয় কিছু লোক ছাড়া কাউকেই পাওয়া যায়নি, আজকে বিএনপি করার জন্য লোকের কোন অভাব নেই। আমাদের দলের স্পষ্ট নির্দেশ আছ আওয়ামী লীগের কোন সন্ত্রাসী, নির্যাতনকারী,জুলুমবাজদের দলে নেওয়া যাবে না। এটাকে উপেক্ষা করে এই দলের ভেতর নানাভাবে চক্রান্ত চলছে, সেই দলীয় চক্রান্ত আমরা দলীয়ভাবে মোকাবেলা করবো। আপনারা দেখেছেন,যারা কোনদিন দল করে নাই, অতি সম্প্রতি শাহ মো. আবু জাফরের বিএনএমের পক্ষে নির্বাচন করায় দল থেকে বহিস্কৃত হয়েছে সেসব বহিস্কৃত লোকেরা এবং আওয়ামী লীগর পদধারী নয় কিন্তু সমর্থক এমন, বিশেষ করে বোয়ালমারী থানা আওয়ামী লীগের সমর্থকরা, বিএনএম মিলে বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। দুই দিন আগে বোয়ালমারী বাজারে একটা মিছিল হয়েছে, আমাদের কাছে ছবি আছে, ছবিতে দেখেছি ওই বিএনএম এবং বিএনপি থেকে বহিস্কৃত লোকেরা মিছিলে আছে। আমরা আমাদের সকলকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছি। দলীয় হাই কমান্ডও এ বিষয়ে অবগত আছে।
খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৩৭টি মামলার আসামী। বিএনপি করার কারণে আমার মাকে মারপিট করা হয়ছ, আমার বাড়িঘর লুট করা হয়েছে, বাড়িঘর জ্বালিয় দেওয়া হয়েছে। তিনবার আমার গাড়ি পুড়িয়েছে। এ এলাকায় আমি সবচেয়ে বড় বিএনপি। বিএনপির পরীক্ষিত কর্মী।
মতবিনিময় সভার এক পর্যায়ে তিনি পুলিশ এবং শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবি করেন। শিক্ষক ও পুলিশদের সর্বোচ্চ বেতন দিতে হবে। কারণ শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর আর পুলিশ দেশের আইন শৃংখলা ঠিক রাখে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ আফসার উদ্দিন, সাবেক পৌর মেয়র আব্দুর শুকুর শেখ, পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খান আতাউর রহমান, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন, উপজেলা স্বেছাসেবক দলের সভাপতি সঞ্জয় কুমার সাহা, যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রশীদ হেলাল, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।