পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩ জন
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের মিথ্যা লোভ দেখিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণার দায়ে ৩ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো: মোর্শেদ আলম। এর আগে শুক্রবার রাতে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকা থেকে ওই তিন প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে বিভিন্ন চেক ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত প্রতারকরা হলেন, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার সুতারকান্দা এলাকার আফতাব মোল্যার ছেলে মিরান মোল্লা (৫৫), একই উপজেলার পুড়াপাড়া এলাকার আজিজুল হক মোল্যার ছেলে আক্কাছ মোল্যা (৪৫) ও পাশের সালথা উপজেলার পুরুরা গ্রামের আব্দুল কাদের মাতুব্বরের ছেলে বিল্লাল মাতুব্বর (৬২)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম জানান, ফরিদপুরে স্বচ্ছ ও মেধার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য শুক্রবার পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে আবেদনকারী প্রার্থীরা যাতে কোনো দালাল চক্রের দ্বারা প্রতারণার শিকার না হন সে লক্ষ্যে ফরিদপুর জেলা পুলিশ, জেলা বিশেষ শাখা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস টিমকে নজরদারী করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। অতঃপর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও জেলা বিশেষ শাখা নজরদারীকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে একটি প্রতারকচক্র কনস্টেবল পদে নিয়োগের অভিনব কায়দায় প্রার্থীর অভিভাবকদের প্রতারিত করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে সাধনা বিশ্বাস নামে এক মহিলা তার মেয়ে দীপা রাজবংশী কনস্টেবল পদে চাকুরি প্রত্যাশী। প্রতারকচক্র পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আট লাখ টাকা চুক্তি সম্পাদন করে চাকরি দেয়ার কথা বলে তার কাছে থেকে স্ট্যাম্প ও চেক নিয়েছে। কিন্তু তার মেয়ের পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হয়নি। বিষয়টি পুলিশ জানার পর তাকে (সাধনা বিশ্বাস) থানায় অভিযোগ দায়েরের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, পরে সাধনা বিশ্বাস কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করলে অতঃপর ডিবি পুলিশ ফরিদপুর শহরে অভিযান চালিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ওই তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হান্নান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।